এক গ্রামে লালু নামে বালক ছিল। অত্যন্ত সাদাসিধে প্রকৃতির এই বালক গ্রামের সবার প্রিয় ছিল। কারণ সবাইকে সাহায্য করা ছিল তার একমাত্র কাজ। সকলের ছোটখাটো জিনিস নষ্ট হলে, ভেঙে গেলে সারিয়ে দিতে সে ছিল পটু। পড়ালেখা তার খুব বেশি ভালো লাগত না। তাই একদিন মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে ঠিকাদারি কাজে লেগে গেল। লালুর একটা ভয়ানক বদঅভ্যাস ছিল; সুযোগ পেলে লোকদের ভয় দেখানো। একবার গ্রামে মনোহর চাটুজ্জের বাড়িতে কালিপূজা। কিন্তু যে লোক বলি দেবে সে ভয়ানক অসুস্থ। এখন সমস্যা কে পাঁঠা বলি দেবে? সবাই লালুর নাম প্রস্তাব করল। লালুকে আনা হলো। লালু পর পর দুটি পাঁঠা বলি দিল। এ সুযোগে সে সকলকে ভয় দেখাবার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলে উঠল ‘কই পাঁঠা, আরও পাঁঠা আন, না হলে আমি সবাইকে নরবলি দেব’। আমার মাথায় খুন চেপেছে। সব লোক হুড়োহুড়ি করে পালিয়ে গেল। সে একলাফে গিয়ে মনোহর চাটুজ্জেকে ধরে এনে কালিমূর্তির সামনে শপথ করিয়ে ছাড়ল যেন আর পাঁঠাবলি দেয়া না হয়।