গল্পের মূল ঘটনা বৃত্ত অন্ধকারের আবর্তে রচিত হয়েছে, এই ঘটনাকে ঠিক ভৌতিক পর্যায়ে মেলা সমীচিন হবে না। কারণ এতো মানুষের অবচেতন ‘মনের বিকারগ্রস্ত রূপের অভিব্যক্তি। যা প্রত্যক্ষ মানব জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, যে অজানা জগতের রহস্যময়তা আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হয়েই থাকে, তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় না। যে বিশেষ অনুভূতিকে নিশীথে গল্পে গল্পকার প্রকাশ করতে চেয়েছেন রাত্রিকালীন আবেষ্টনে তার স্বরূপ বৈশিষ্ট্য যথাযোগ্য ভাবে বিন্যস্ত হবার অবকাশ পেয়েছে। গল্পের কথা শরীরে, তা সত্যই অভিনব, আমি রূপী ডাক্তারের কাছে দক্ষিণাবাবু তাঁর ভয়ার্ত অনুভূতির কথা রাত্রিতে ব্যক্ত করেছেন, সামান্য কেরোসিনের একটুখানি অস্পষ্ট আলোয় দক্ষিণাবাবুর মুখ থেকে তাঁর প্রথমা স্ত্রী, মনোরমা এবং রাত্রির কুহকে কাল্পনিক শঙ্কার কথা শোনা গেল। ঘটনা রাত্রিতে সংঘটিত হয়েছে এবং তাঁর বর্ণনাও রাত্রিকালীন পরিবেশে—তাই রাত্রির ব্যঞ্জনাকে গল্পের ভাবনায় গভীরভাবে মুদ্রিত দেখা যায়।