আদ্যানাথ ও বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী দুই শরিক। বৈদ্যনাথের অবস্থা খারাপ ছিল, কারণ তাঁর বাপ মহেশচন্দ্র সম্পত্তি দেখভালে অদক্ষ ছিলেন এবং বড় ভাই শিবনাথের উপর নির্ভর করতেন। শিবনাথ স্নেহ দেখিয়ে ভাইয়ের সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। বৈদ্যনাথের কাছে কেবল কিছু কোম্পানির কাগজ অবশিষ্ট থাকে, যা তাঁর একমাত্র সম্বল। শিবনাথ তাঁর পুত্র আদ্যানাথের এক ধনী কন্যার সঙ্গে বিবাহের মাধ্যমে সম্পত্তি বাড়ানোর সুযোগ করে দেন। মহেশচন্দ্র এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের প্রতি দয়া করে কোনো পণ ছাড়াই তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করেন। সাতটি কন্যা গ্রহণ করেননি, কারণ তাঁর একমাত্র পুত্র ছিল এবং ব্রাহ্মণও অনুরোধ করেননি। তবে, তাদের বিবাহের জন্য সাধ্যাতিরিক্ত অর্থ সাহায্য করেছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর বৈদ্যনাথ তাঁর কাগজগুলো নিয়ে নিশ্চিন্ত ও সন্তুষ্টচিত্তে ছিলেন।