শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোটগল্প "বিলাসী" ন্যাড়ার বয়ানে মৃত্যুঞ্জয়ের জীবনকথা তুলে ধরে। মৃত্যুঞ্জয়, যাকে সবাই শুধু তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হিসেবেই জানে, ছিল নির্ভীক, দয়ালু, ও ধৈর্যশীল। নিজের আমবাগানের আয়ে দিন কাটত তার। এক সময় সে অসুস্থ হলে, সাপুড়ে কন্যা বিলাসী তাকে সুস্থ করে ও বিয়ে করে। কিন্তু এই বিবাহে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। মৃত্যুঞ্জয়ের খুড়ো ও সাঙ্গোপাঙ্গরা তার উপর অত্যাচার চালায়। পরবর্তী সময়ে তারা গ্রাম ছেড়ে মালপাড়ায় বসবাস শুরু করে। শেষে সাপের কামড়ে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়, এবং বিলাসী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। ন্যাড়ার সাপুড়ে জীবনও এখানেই শেষ হয়।