জমিদার বংশের সন্তান দেবদাস আর সাধারণ পরিবারের মেয়ে পার্বতী প্রতিবেশি হওয়ায় ছোটবেলায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বয়স বাড়লে দেবদাসকে পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয় কলকাতায়। কয়েক বছর পর দেবদাস ফিরে এসে পার্বতীর প্রেমে পড়ে। দেবদাসের জন্য পার্বতীর মনেও ভালবাসা ছিল। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়। পার্বতীর পরিবার থেকে দেবদাসের পরিবারে প্রস্তাব পাঠানো হয়, কিন্তু দেবদাসের পরিবার এতে উৎসাহ দেখায় না। অপমানিত হয়ে পার্বতীর পিতা দেবদাসের চেয়ে সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বিয়ে ঠিক করেন। পার্বতী বিষয়টা দেবদাসকে জানায়। কিন্তু দেবদাস পিতার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে ব্যর্থ হয়ে পার্বতীকে ফিরিয়ে দেয় এবং বিভ্রান্ত হয়ে কলকাতায় চলে যায়। পার্বতী পিতার কথায় বিয়ে করে। কলকাতায় দেবদাসের পরিচয় হয় চন্দ্রমুখী নামের এক নারীর সঙ্গে। চন্দ্রমুখীর সাথে সে সারাক্ষণ পার্বতীর কথা বলত আর মদ খেতো। অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যু আসন্ন টের পেয়ে দেবদাস এক ভোরে শেষবারের মতো পার্বতীর শশুরবাড়ি ছুটে যায়। তবে পার্বতীকে দেখতে না পেয়ে করুণ মৃত্যু হয় দেবদাসের।