উপন্যাসটি একজন সাধারণ মানুষের সংগ্রাম এবং স্বপ্নের কাহিনি, যা এক সাদামাটা হোটেলের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। হাজারি ঠাকুর, একজন পীড়িত রাঁধুনী, একটি হোটেল চালানোর জন্য নিজের সাধনা ও নিষ্ঠা দিয়ে যাত্রা শুরু করে। রানাঘাট স্টেশনের কাছে বেচু চক্রবর্তীর হোটেলে কাজ করার সময় তিনি অনৈতিক কাজের সাক্ষী হন, যা তাকে ব্যথিত করে।হাজারি ঠাকুর সিদ্ধান্ত নেন, তিনি নিজের একটি হোটেল খুলবেন, যেখানে খাবারের প্রতি সততা ও পবিত্রতা থাকবে। সে হোটেলটি প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে তার নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় শুদ্ধতা এবং মানবিক মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করে। তবে তার ব্যবসায়িক সাফল্য তাকে প্রফুল্লিত না করে, বরং পদ্মদিদির সঙ্গে সম্পর্ক এবং তার নৈতিক অবস্থান তাকে আরো গভীরভাবে ভাবায়।উপন্যাসটির মাধ্যমে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং মানবিক মূল্যবোধের চিত্রায়ণ করেছেন। এটি একটি সাধারণ মানুষের আত্মনির্ভরশীলতার, পরিশ্রমের এবং সততার অমর উদাহরণ।