তিনদিনের জ্বরে স্ত্রী মরিয়মের মৃত্যুতে মানিক শোকে মুহ্যমান। ভালোবাসার প্রকাশ সে কখনোই নরমভাবে করেনি, বরং রুক্ষ আচরণ ও খিস্তি দিয়েই স্ত্রীকে "শাসন" করত। রাতে স্ত্রীর কবরের পাশে শিয়ালের ডাক শুনে অস্থির হয়ে মানিক কবরস্থানে ছুটে যায় এবং মরিয়মের লাশ কবরের পাশে পড়ে থাকতে দেখে।সিদ্ধান্ত নেয়, স্ত্রীকে একা ফেলে রাখবে না। লাশ কাঁধে নিয়ে ঘরে ফেরে। পথে মনে হয় কেউ তার পিছু নিয়েছে। ঘরে দরজা বন্ধ করার পরও দরজায় ধাক্কা ও আঁচড়ের শব্দ পায়। রামদা হাতে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত হয় মানিক।হঠাৎ রান্নাঘরের ছাদে বিড়ালের আওয়াজ শুনে বিভ্রান্ত হয় সে। ঠিক তখনই সদর দরজা খোলার শব্দ পায়। বাইরে দেখে রতন চোরাকে, যে সপ্তাহখানেক আগে মারা গিয়েছিল। হতভম্ব মানিক আবিষ্কার করে, খাটের উপর জ্যান্ত মরিয়ম বসে আছে, লাল বেনারসি ও গয়নায় সজ্জিত। ঘোমটা তুলে সে রতনকে "কেমুন আছেন" জিজ্ঞেস করে। এরপর আর কিছু মনে থাকে না মানিকের।