এই উপন্যাসটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পরবর্তী দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত। কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্র জয়গুন, একজন বিধবা নারী, যিনি তার সন্তানদের নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামবাসীরা তার জমি অপয়া মনে করে, কিন্তু জয়গুন সেখানে বসবাস শুরু করেন।গ্রামে একসময় গদু প্রধান নামক একজন মোড়লের সাথে তার সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়, এবং শেষে গদু প্রধান তার দ্বিতীয় স্বামী খলিলকে হত্যা করে, যা জয়গুনকে প্রমাণ হিসেবে সাক্ষী হতে বাধ্য করে। এই ঘটনা জয়গুনের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে এবং তাকে বিভিন্ন সামাজিক কুসংস্কার এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিকার হতে হয়।উপন্যাসটি নারীর সংগ্রাম, সামাজিক বৈষম্য এবং ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চিত্র তুলে ধরে।