রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "ব্যবধান" গল্পটি একটি গভীর মানবিক নাটক। গল্পটির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দুই আত্মীয়ের মধ্যকার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যা ক্রমশ দূরে সরে যায়। বনমালী এবং হিমাংশু, দুই আত্মীয়, একসময় ছিলেন অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে একটি ব্যবধান তৈরি হতে থাকে। বনমালীর সরলতা এবং হিমাংশুর জ্ঞানের তৃষ্ণা, এই দুই ভিন্ন স্বভাবের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি করে। গল্পটি এই দুই চরিত্রের মধ্যকার মানসিক দূরত্ব, তাদের জীবনের পরিবর্তন এবং পরিণামে তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ঘটে। রবীন্দ্রনাথ এই গল্পের মাধ্যমে মানব সম্পর্কের জটিলতা, পরিবর্তনের প্রভাব এবং জীবনের অস্থিরতার বিষয়টিকে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।